অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হল চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তৈলবীজ, ভোজ্য তেলের মতো কৃষিজ পণ্যকে। এই সব কৃষিপণ্যের উপর আর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না সরকারে। পণ্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমাও উঠে যাবে। ১৯৫৫ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধনীটি ১৫ সেপ্টেম্বর লোকসভায় পাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার রাজ্যসভাতেও ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল। করোনা অতিমারীর মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্রকল্পের ঘোষণার সময় এই সংশোধনীটি আনার তোড়জোড় চলছিল। রাষ্ট্রপতি এখন এই বিলে সই করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
তবে শুধুমাত্র মূল্যবৃদ্ধি, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সরকার এই সব পণ্যের মজুত, বিক্রি বা অন্যান্য বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলেও সংশোধনীতে বলা আছে। কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য ও গণবণ্টন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দানভে রাওসাহেব দাদারাওয়ের দাবি, আইন কার্যকর হলে কৃষকরা খাদ্যশস্য উৎপাদন, মজুত, বণ্টন, পরিবহণ ও বিক্রি করার স্বাধীনতা পাবেন। পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। মজুতের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়ায় ফসল উৎপাদনের পর যত সম্ভব মজুত করা যাবে। চাষিদের ফসল নষ্ট বা কম দামে বিক্রির সম্ভাবনা কমবে। এই সংশোধনীতে কৃষক ও উপভোক্তা দু’পক্ষেরই সুবিধা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback