শরতের শিশির

প্রসুন গুপ্ত

“এসেছে শরৎ হিমের পরশ
লেগেছে হওয়ার পরে
সকালবেলার ঘাসের আগায়
শিশিরের রেখা ধরে”

হাঁ, এই শরতের আজকের দিনে ১৯৪১ এ জন্মেছিলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শিশির অধিকারী। সমাজসেবা থেকে রাজনীতিতে তাঁকে ছুঁতে পারেনি কেউ। সেই ৭০ এর দশক থেকে আজও তিনি স্বমহিমায় রয়েছেন রাজনীতির আঙিনায়। ৭০ দশকের মধ্যভাগে আঞ্চলিক বন্যার কারণে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় মহাকরণে বলেছিলেনা ‘I WANT SISHIR’। তারপর আর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি শিশির অধিকারীকে। ইন্দিরা, রাজীবের সভায় লোক চাই? তো ডাক শিশিরকে। এরকম বহু ঘটনা। বাম জামানাতেও বিরোধীদের কাঁথিতে সবকটা আসন জয়ের কারিগরও শিশির অধিকারী।
এই সেদিন উপনির্বাচনে উত্তর দমদমে পরাজিত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে কাঁথি থেকে জিতিয়ে এনেছিলেন এই শিশিরই। CN ওয়েব পোর্টাল থেকে তাঁকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশ্ন করা হয় ‘কি পেলেন?’ CN-কে পাল্টা শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা, তাই রোজ কাজ করতে যাচ্ছি’। আজ পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন কমিটি, নতুন মুখ। কিন্তু অধিকারী পরিবারকে অস্বীকার করতে পারেননা দলনেত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়ও। ২০২১-এ কঠিন লড়াই, কমিটি যাই হোক না কেন শিশিরের সহযোগিতা ছাড়া মেদিনীপুর দখল সম্ভব কি? উত্তর দেবে জনতা।

1 تعليقات

Thank You for your important feedback

إرسال تعليق

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم