সকালেই টুইট করে তৃণমূল সহ বিরোধী দলের সাংসদদের বহিষ্কার করা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষি বিল নিয়ে গর্জে উঠলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন বিলের বিরোধিতায় মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তিনি বলেন, ‘কৃষি বিল পাশ করার দিন ‘কালা রবিবার’ হয়ে থাকবে দেশের ইতিহাসে। সংসদে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। কোনও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে বিল পাশ করানো হয়েছে’।
এরপরই তিনি রাজ্যবাসীকে এই নতুন কৃষি বিলের বিরোধিতায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সংসদ ভবনের বাইরে ধরনায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। রবিবার কৃষি বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজ্যসভার কক্ষের ভিতরই হট্টগোল করেন বিরোধী সাংসদরা। পাশাপাশি ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশকে কটূক্তি করায় ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আট সাংসদকে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সংসদের সামনে ধরনা সোমবার দিন-রাত চলবে। মঙ্গলবার সকালে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।
ছবি: প্রতিকী
করোনা আবহে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ। তবে আনলক পর্বে ধরণা, অবস্থান, বিক্ষোভের নামে চলছে জমায়েত। এবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও অবস্থান-বিক্ষোভের সরণীতে ঢুকে পড়ল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী-কর্মীরা গান্ধি মূর্তির পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভ করবে। যদিও তিনি করোনা বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশও দিয়েছেন মহিলা নেতৃত্বকে। তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষি বিল নিয়ে প্রথমে আন্দোলন শুরু করবে মহিলা শাখা। এরপর একে একে অন্যান্য শাখাও আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াবে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback