‘আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাদ্যি বাজি’, সাধারণত আশ্বিন মাসেই হয় দুর্গাপুজো। কিন্তু এবছর পুজো হবে কার্তিক মাসে। মহালয়ার ৩৫ দিন পর হবে মায়ের পুজো। কেন? কারণ পঞ্জিকা বলছে এবছর আশ্বিন মাস হল মলমাস। তাই এই মাসে পুজো পার্বন নৈব নৈব চ। যারা তিথি নক্ষত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁদের কথায় এটা অতিরিক্ত মাস। প্রতি উনিশ বছর পরপর এই ঘটনা ঘটে। তিথি নক্ষত্রের সূক্ষ্ম হিসেব মেলাতে গিয়েই এটা ঘটে থাকে। সাধারণত ভাদ্রমাসই মলমাস হয়ে থাকে। কিন্তু উনিশ বছর পরপর মলমাস একমাস পিছিয়ে যায়। আবার শাস্ত্রমতে একই মাসে দু’টো অমাবস্যা থাকলে তাকে মল মাস বলে।
ভাদ্রের শেষদিন মহালয়া। অর্থাৎ পিতৃ পক্ষের শেষ হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। তিথি মেনে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গেল মাতৃ পক্ষ। কিন্তু কোনও পুজো হবেনা এই মাসে। হিন্দু ধর্মের মতে মলমাসে কোনও পুজো-অর্চনা করা যায় না। হিন্দুধর্ম মতে সমস্ত পুজো-অর্চনা হয় সূর্য ও চন্দ্রের তিথি অনুযায়ী। পন্ডিতরা জানাচ্ছেন, সৌরতিথি ও চান্দ্রতিথির হিসেব আলাদা আলাদা। কারণ সূর্যের একমাস তিরিশ দিনে হলেও চাঁদের একমাস সাতাশ থেকে সাড়ে উনত্রিশ দিনে হয়। কয়েকদিনের এই ফারাক এক বছরে গিয়ে দাঁড়ায় এগারো দিন। আর এই ফারাকের জন্যই কোনও কোনও বছরে মলমাস পিছিয়ে যায়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী একমাত্র পৌষমাস বাদে সব মাসই হতে পারে মলমাস। ফলে প্রতি তিন বছর অন্তর একেকটি মাস মলমাস হিসেবে গণ্য হয়। আর প্রতি উনিশ বছর পর আশ্বিন মাসের ভাগ্যে জোটে মলমাসের তকমা। আর সেবছরই পিছিয়ে যায় দুর্গাপুজো।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback