শুক্রবার গান্ধিজয়ন্তীর দিনও বাদ গেল না রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের। এদিন ব্যারাকপুরে গান্ধিজির স্মৃতি বিজড়িত গান্ধিঘাটে ছিল মূল অনুষ্ঠান। প্রথা মেনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সেখানে গিয়ে গান্ধিজির মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। এই অনুষ্ঠানের শেষেই ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে বেনজির আক্রামণ করে বসেন। তিনি রাজ্যপালকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলে কটাক্ষ করেন। পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যপালও। ব্রাত্য বসুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘রাজভবনকে বাদ দিয়ে আত্মসমীক্ষা করা উচিত সরকারের।
রাজ্যপালকে অপমান করা মানে ভারতের সংবিধানকে অপমান করা’। এদিন ব্যারাকপুরের গান্ধিঘাটের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘উনি কী সব বলছেন ভাসা-ভাসা, ঘোলা-ঘোলো... কেন উনি এসব বলে ওনার নামের আগে একটা ‘নৈ’ বসাচ্ছেন। এটা বসিয়ে তার নাম ‘নৈরাজ্যপাল’ করছেন কেন সেটা আমরা ধরতে পারছি না’। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘উনি রাজনৈতিক মুখপাত্র হিসাবে যা যা বলার সে সব তো বলেই চলেছেন’। এই মন্তব্যেরই পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে ব্রাত্য বসুর এহেন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যপালের মতো সম্মানজনক পদকে অমর্যাদা করা উচিত না। তাই ব্যক্তি রাজ্যপালের সমালোচনা করতে গিয়ে কখনও এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয় যাতে রাজ্যপালের পদমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback