অশোককুমার ও কিশোরকুমার প্রবাসী বাঙালি। এ রাজ্যের সাথে যোগাযোগ কম থাকলেও বাঙালিয়ানায় খামতি ছিল না। ১৯১১ সালের আজকের তারিখে জন্ম কুমুদলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের, এটাই পিতৃদত্ত নাম ছিল অশোকের। অবশ্য সিনিয়ার অভিনেতা হওয়ার কারণে বোম্বে ফিল্মের সকলের ' দাদামনি' হয়ে গেলেন একসময়ে। টকি ছবি আসার সাথেই অশোকের আগমন। দেবিকারানির সাথে অচ্ছ্যুৎ কন্যা রিলিজ হওয়ার পর তরতর করে ইন্ডাস্ট্রির মুখ হয়ে গেলেন দাদামনি। একের পর এক হিট ছবি, কামিনী কৌশল থেকে মীনাকুমারী, গীতা বালি থেকে মধুবালারা তাঁর সাথে কাজ করার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। বাংলা ছবিও করেছেন বেশ কয়েকটি। সুচিত্রা সেনের সাথে হসপিটাল আজও আকর্ষণীয়। তবে অনেকের মতে তপন সিংহের 'হাটে বাজারে' ও হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'আশীর্বাদ' অশোককুমারের জীবনের সেরা ছবি। আজকের প্রজন্ম তাঁকে কতটা চেনে তাতে সন্দেহ আছে তবে হিন্দি ফিল্মের শীর্ষে থাকা অভিনেতার ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
দাদামনির জন্মদিনেই চলে যেতে হয়েছিল আভাসকুমার গঙ্গোপাধ্যায়কে মানে কিশোর কুমারকে। মাত্র ৫৯ বছর বয়সে। কিশোরের মতো এতো অসাধারণ কণ্ঠের গায়ক আজ অবধি ভারতে খুব বেশি আসেনি। অথচ স্বরলিপি জানতেন না, জানতেন না রাগপ্রধান গানও। কিন্তু হাতে ধরে তাঁকে শিখিয়েছিলেন শচীনদেব বর্মন। প্রথম প্রথম কেউ পাত্তাই দেয়নি কিশোরকে। পরে দেব আনন্দ সুরকারদের সাফ জানিয়ে দেন তিনি কিশোরের গানেই লিপ দেবেন। অবশ্য কিশোরের বাজার তৈরি হলো রাজেশ খান্নার গান গেয়ে। এরপর সারা বলিউডের অভিনেতারা কিশোরকেই চাইতেন। এর মধ্যে অবশ্য বহু বাংলা গান গেয়েছেন। নিজের সুরে বাংলা গান গাইয়েছেন লতা মঙ্গেশকরকে। একচ্ছত্র বাজার যখন তাঁর হাতে তখনই চলে গেলেন তিনি ১৯৮৭-তে। অমিতাভ বচ্চন বলেছিলেন, আমার সৌভাগ্য যে ভারতের এই দুই প্রতিভার সাথে আমি কাজ করেছি। এবং দুজনেই আমার শ্বশুরবাড়ির লোক।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback