করোনাভাইরাসের ইমিউনিটি কমকরেও পাঁচমাস থাকে। ৬ হাজার করোনা আক্রান্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আমেরিকার গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। এই গবেষকদলের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি দীপ্ত ভট্টাচার্য তিনি আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। ক্যালিফোর্নিয়ার পিএইচডি দীপ্ত এখন তাঁর জন্মস্থান টাকসনে ইমিউনোবায়োলজি বিভাগে কাজ করছেন। দীপ্ত বুধবার প্রকাশিত জার্নাল ইমিউনিটিতে জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ হওয়ার পাঁচ থেকে সাতমাস পরও আক্রান্তের শরীরে উচ্চমানের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। করোনার প্রতিরোধে অ্যান্টবডির স্থায়িত্ব নিয়ে অনেকেই সন্দিগ্ধ ছিলেন।কিন্তু এই পরীক্ষার ফল অন্যরকম বলছে। একাধিক দেশে সেরে ওঠার পরও ফের সংক্রমণের খবর আসছে। ৪৮ দিনের মধ্যে এক মার্কিন নাগরিকের আবার করোনা সংক্রমণ হয়েছে। গবেষণা বলছে, যখন ভাইরাস প্রথমে সেলকে সংক্রমিত করে ইমিউন সিস্টেম তখন স্বল্পমেয়াদী প্লাজমা সেলকে কাজে লাগায়। তখনই ভাইরাসকে লড়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয় । সংক্রমণের ১৪ দিনের মধ্যে রক্তপরীক্ষায় তা দেখা যায়। দ্বিতীয় ধরনের ইমিউন প্রতিক্রিয়া হল দীর্ঘমেয়াদী উচ্চমানের অ্যান্টিবডি তৈরি করা যাতে স্থায়ী ইমিউনিটি হয়। তবে অ্যান্টিবডি করোনার বিরুদ্ধে স্থায়ী প্রতিরক্ষা দিতে পারে কিনা তা এখনও কঠিন প্রশ্ন। এই পরীক্ষা স্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছে। আগে ধারণা ছিল, অ্যান্টিবডি স্বল্পস্থায়ী।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback