বুধবারই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয় এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ সল্টলেকে গোর্খা ভবনের সামনে চলল টানটান উত্তেজনা। প্রায় তিনবছর পর প্রকাশ্যে দেখা গেল পুলিশের খাতায় নিখোঁজ বিমল গুরুংকে। গোর্খা ভবনের সামনে গাড়িতেই তাঁকে আধঘন্টা মতো অপেক্ষা করতে হল। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন গেরুয়া বসন পরা এক ব্যক্তি। যদিও তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। অনেক ডাকাডাকির পরও গোর্খা ভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা সদর দরজা খুললেন না। ফলে বাধ্য হয়েই মিনিট চল্লিশের পর তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে হল। সূত্রের খবর, গোর্খা ভবনের ভিতরে ছিলেন কয়েকজন জিটিএ আধিকারিক। তবুও খোলা হয়নি গেট। বিমল গুরুংদের জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেওয়া যাবে না গোর্খা ভবনে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দার্জিলিংয়ে অশান্তির পর বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে UAPA-র ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকর্মী অমিতাভ মালিক খুনের মামলাও রয়েছে। পাশাপাশি একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। সেই ২০১৭ সাল থেকেই নিরুদ্দেশ ছিলেন গুরুং। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিআইডি-সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। এরমধ্যে তিনি এক অজ্ঞাত স্থান থেকে একাধিক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর প্রায় তিনবছর পর আচমকাই তাঁকে দেখা গেল গোর্খা ভবনের সামনে। এরপর তিনি ওই গাড়িতেই কলকাতার দিকে চলে যান।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback