পুজোর আর হাতে গোনা কদিন বাকি। কিন্তু করোনা বাদ সেধেছে এবার শারদ উৎসবে গত ৭ মাস ধরে লকডাউনের জেরে সমস্ত ব্যবসায়ীর সময় ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার বনকাপাসি গ্রামের শোলাশিল্প ব্যবসা এবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাড়ির ছেলে-বউ সবাই হাতে হাত মিলিয়ে সারাবছরই কাজ করেন এই শোলাশিল্পে।
বনকাপাসির শোলাশিল্প সারা পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিবছরই এখানকার শোলার তৈরি দুর্গা যায় সর্বত্র। শুধু তাই নয়, এই গ্রামের ৩ জন শিল্পী রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যেই। কৃষিকাজ ভালো না হওয়ার জন্য এই এলাকার সব মানুষই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
কিন্তু এবছর করো না পরিস্থিতির জন্য বাজার একবারে খারাপ। অর্ডার আসেনি। শুধু তাই নয় এখানকার শোলাশিল্পীরা মণ্ডপসজ্জা জন্য দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, কলকাতায় পাড়ি দেন। সেখান থেকে কোনও অর্ডার আসেনি। তাই মা এলেও মনে নেই কোনও আনন্দ নেই এবার।
দক্ষ শিল্পীদের নিপুণ হাতের কাজ দেখার মতো। আবার অসময়ে বৃষ্টি মাঝে মাঝে এই শিল্পে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।সবমিলিয়ে বলা যেতেই পারে এবছর বনকাপাসি শিল্পীরা অনেক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকারের কোনও সাহায্য তারা পাননি, এমনটাই তাঁদের অভিযোগ। পাশাপাশি ঘটা করে গত সাত-আট বছর আগে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এখানে শোলা হাব করা হবে বলেছিলেন। কিন্তু বছরের পর বছর ঘুরলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এমনটাই দাবি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback