হাতরাসে দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুনের পর আবার খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। বলরামপুরে আরেক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। হাতরাসের অভাগিনীর মতো বলরামপুরের ধর্ষিতাকে তড়িঘড়ি পুলিশ দাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বলরামপুরের গাইসারি গ্রামে র্ধ্ষকদের শিকার হন ২২ বছরের বি. কমের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। কলেজ ফেরার পথে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, তিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিন-চারজন তাঁকে অপহরণ করে। বাড়ির লোক বহুবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। অভিযোগ, একটি মুদির দোকানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।
পরে তিনি অচৈতন্য অবস্থায় একটি রিকশায় বাড়ি পৌঁছন। তাঁর হাতে ছিল গ্লুকোজের ড্রিপ লাগানো। পা ও মেরুদণ্ড ভাঙা ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে ধর্ষণের আগে বিষ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল বলেও পরিবারের অভিযোগ। তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। শুধু বলেছেন, ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আমি আর বাঁচব না। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন নাবালক বলেই জানা গিয়েছে। অপরদিকে বলরামপুরের মতোই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেরই বুলন্দশহর এবং আজমগড়ে। বুলন্দশহরে ১৪ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে আজমগড়ে নির্যাতিতার বয়স মাত্র ৮ বছর। ওই শিশুকন্যাকে স্নান করানোর আছিলায় ধর্ষণ করেছে ২০ বছরের এক প্রতিবেশী যুবক।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback