ভারতীয় রাজনীতিতে জয়প্রকাশ নারায়ণ ও নানাজী দেশমুখ দুজনেই উজ্জ্বল মুখ। দেশজুড়ে যখন অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন নিয়ে হইচই হচ্ছে তখন কার্যত বিস্মৃতির অন্তরালে চলে গিয়েছেন এই দুই প্রবাদপ্রতিম নেতা। আজকের দিনে জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্ম বিহারে ১৯০২ সালে। পরাধীন ভারতে পিছিয়ে পড়া বিহার থেকে উচ্চশিক্ষাই নিয়েছিলেন জেপি। পরে গান্ধিজীর আহ্বানে জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা সংগ্রামে। বহুবার জেল খেটেছেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মন্ত্রিত্বের আকর্ষণ ছেড়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের পশে দাঁড়ান। লোহিয়াজীর সাথে আন্দোলনও করেন। নেহেরু, ইন্দিরার সাথে সুসম্পর্ক থাকলেও গড়ে তোলেন সর্বোদয় সংগঠন। জরুরি অবস্থার সময়ে সমস্ত বিরোধী দলকে এককাট্টা করে তৈরি করেন জনতা পার্টি। ক্ষমতায় আসেন তাঁরা, কিন্তু এখানেও পদ নিতে অস্বীকার করেন জয়প্রকাশ নারায়ন।
কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় মৃত্যু হয় তাঁর।অপরদিকে নানাজী দেশমুখও উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। তিনি সংঘ পরিবারের প্রচারক ছিলেন। ১৯১৬ সালে জন্ম এই মারাঠির। যদিও অর্থ রোজগারে কোনও আকর্ষণ ছিল না নানাজী দেশমুখের। তাই অনায়াসেই সমাজসেবায় যুক্ত হতে পেরেছিলেন তিনি। জরুরি অবস্থার সময়ে তিনিও জেলবন্দি হন। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টিতে বাজপেয়ী, আদবানির সাথে যোগ দেন নানাজী দেশমুখ। মোরারজি দেশাইয়েক মন্ত্রিসভায় যোগ না দিয়ে সংগঠনের কাজে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন এবং এখানেও সংগঠনই ছিল তাঁর লক্ষ্য। পরবর্তী সময়ে মৃত্যুর পর ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন নানাজী দেশমুখ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback