ষষ্ঠীর দিনই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবছর দুর্গাপুজোয় নেই ভিড়ভাট্টা, নেই প্যান্ডেল হুপিং। শেষ কবে কলকাতাবাসী এরকম ফাঁকা ফাঁকা দুর্গাপুজো দেখেছেন সেটা মনে করতে পারছেন না পুজো কমিটিগুলির প্রবীন সদস্যরাও। চলতি করোনা আবহে রাজ্যের প্রতিটি পুজো মণ্ডপকেই ‘কনটেনমেন্ট জোন’ বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর হাইকোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে বেশিরভাগ পুজো কমিটিই। বিশেষ করে কলকাতার বড় পুজো কমিটিগুলি। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশমতো মণ্ডপের ২০ মিটার দূরত্বে ব্যারিকেড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এই আবহেও কিন্তু রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বিরাম নেই। পুজোর মুখে আচমকাই করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি হয়েছে সর্বোচ্চ গতিতে।


২২ অক্টোবরে দেওয়া রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া সর্বশেষ করোনা বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,১৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসেব। দুর্গাপুজোর আগেই পরপর তিনদিন দৈনিক সংক্রমণ চার হাজার পার করল। যেটাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে পুজোর কেনাকাটার ভিড়ই এই রেকর্ড সংক্রমণের জন্য দায়ী। তবে আশার আলো বলতে, রাজ্যে এখনও সুস্থতার হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। কিন্তু সেই সুস্থতার হারও ধীরেধীরে কমছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) পর্যন্ত বাংলায় অ্যাক্টিভ বা বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩৬ হাজার ০৬৪ জন।


এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৮ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬,৩০৮ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ৬৪ জন গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছেন। এরমধ্যে কলকাতায় ১৬ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণাতেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতাকে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণা। এই পরিস্থিতিতে যদি পুজোয় ভিড় ঠেকানো না যায় তবে পুরো পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সতর্ক করেছিলেন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গোষ্ঠী সংক্রমণও হচ্ছে কিছু জায়গায়। আর ষষ্ঠীর দিনই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলা।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم