হাইকোর্টের রায়ে এবার বাঙালির ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা হবে না। সেই কারণে অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপেই প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শন করে সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবছর। কিন্তু ভোজনরসিক ও পানপ্রিয় বাঙালি কি করবে? সেখানে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই তো? ষষ্ঠীর দিনও মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় হাতে গোনা, সুদূর অতীতেও এরকম দৃশ্য কেউ দেখেছেন কিনা মনে করতে পারছেন না। ফলে পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি চরম সঙ্কটে পড়েছেন কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হোটেল, রেস্ট্রুরেন্ট থেকে শুরু করে পুজোর দিনগুলিতে ফুটপাথে স্টল দেওয়া খাবারের দোকানীরা। লোকই যদি রাস্তায় না থাকে তবে খাবে কে?
ইতিমধ্যেই কলকাতার নামি রেস্টুরেন্ট মালিকরা জানাচ্ছেন লকডাউনে তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে প্রবল। পুজোর মুখে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ছিল। সেটাও এখন বিশ বাঁও জলে। তাই এবার তারা হোম ডেলিভারির পরিকল্পনা নিয়েছেন। এমন অনেক রেস্টুরেন্ট আছে যারা হোম ডেলিভারির জন্য আলাদা মূল্যও নেবে না বলে ঠিক করেছে। পাশাপাশি বারগুলি খোলা থাকবে কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মেনেই। কিন্তু কত রাত অবধি? সেটাতে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও সময়ে বন্ধ করার নির্দেশ আছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মদের হোম ডেলিভারি। অন্যদিকে মদের দোকান রোজই খোলা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। অর্থাৎ খাবার থেকে সুরের মুর্ছনা কিংবা মদ্যপান যাই আনন্দ করতে চান করুন, কিন্তু বাড়িতে বসে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback