উত্তরবঙ্গের পর জঙ্গলমহল সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার খড়গপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এখানে করোনা থেকে পুজোর আয়োজন, মাটি প্রকল্প সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি জঙ্গলমহলের উন্নয়ন নিয়েও সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তবে ইদানিং পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার মতো জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে সবচেয়ে বড় ইস্যু হল হাতির হামলা। বুনো এবং দাঁতাল হাতির হামলায় এই জেলাগুলিতে প্রায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এবার ভোটের মুখে জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে ফের বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থেকে হাতির আক্রমণে মৃতের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
খড়গপুরের প্রাশাসনিক সভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ ঠিত করেছি, কেউ যদি হাতির আক্রমণে প্রাণ হারান, যেটা বেশিরভাগটা ঝাড়গ্রামের দিকে হয়। মেদিনীপুরে হয়, পুরুলিয়ায় হয়, বাঁকুড়ায় হয় এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে তাঁদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে। তাঁদের পরিবারের একজন সদস্যকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, হাতির হানায় মৃত্যু হলে এতদিন মৃতের পরিবার আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেতেন। এবার তাঁদের পরিবারের একজন চাকরিও পাবেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘অনেকে হাতির হানায় মারা যান। তারপর কেউ ফিরেও তাকায় না। তাঁরা ২.৫ লাখ টাকা পান। এবার থেকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরিও পাবেন। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত’। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, জঙ্গলমহলেও বিজেপির প্রভাব অনেকটা বেড়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেই পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে শাসকদলকে। বলা চলে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই ভোটব্যাঙ্কই ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback