সারা পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তে যেখানে যেখানে দূর্গাপুজো হয়ে থাকে তাঁদের অনেকেই পুজো বন্ধ রেখেছেন। অনেকে আবার ভার্চুয়াল পুজোর আয়োজন করেছেন। কিন্তু বাংলা, ত্রিপুরা ও আসামের বিভিন্ন প্রান্তের মূল উৎসব দুর্গাপুজো। ফলে পুজো বন্ধ করেনি কেউই। ফলে অনেকেই আতঙ্কে ভুগছেন, তারপর কি হবে? কলকাতার পুজো হয়তো ছোট হয়েছে কিন্তু ভার্চুয়াল বা ঘাট পুজোর দায়িত্ব কেউ নেয়নি। ফলে মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শনে ভিড় হবেই। এরমধ্যেও কয়েকটি পুজো কমিটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন প্রদীপ ঘোষের নেবুতলা পার্কে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণের বেহালার দেবদারু ফটক পুজো কমিটি।
ভিড় এড়ানোর জন্য অরূপ বিশ্বাসের সুরুচির পুজো ভার্চুয়াল করা হয়েছে, যদিও জনতার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়নি। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আবেদন করেছেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টাই তাঁদের পুজো মোবাইলে দেখতে পাবেন। এবং অঞ্জলি বাড়িতে বসেই দিতে পারবেন। পাশাপাশি অন্যান্য পুজো কমিটিও ভাবছে কি করে ভিড় ঠেকানো যায়। বেশিরভাগ পুজো কমিটিই অবশ্য বলছে ভিড় আটকানোর সবরকম প্রচেষ্টা তাঁরা করবেন। কিন্তু মূল দায়িত্ব অবশ্যই সাধারণ দর্শনার্থীদের। দর্শকদের সদর্থক মনোভাব এবার পুজোয় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব, সেটা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। সপ্তাহান্তে পুজোর বাজারে যা ভিড় হয়েছে সেটা যদি ট্রেলার হয় তবে পুজোর দিনগুলি কি হতে চলেছে সেটা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback