করোনায় আর্থিক মন্দা, তাই ৪০৮ বছরের পুজোয় এবার ঘটপুজো

 

একদিকে করোনার আতঙ্ক, অন্যদিকে দেশব্যাপী দীর্ঘ লকডাউন। সবমিলিয়ে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চলে এল দুর্গাপুজো। এই আর্থিক মন্দার কারণে এবার বহু বাড়ির পুজো নমো নমো করে সারা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই কাঁটছাঁট করা হয়েছে পুজোর জাঁকজমকে। বহু বাড়ির পুজোয় এবার দেশবিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের আসা হচ্ছে না। তাই মন খারাপ বাঙালির। মেদিনীপুর শহরের নন্দীবাড়ির ঐতিহ্যবাহী পুজো এবার বন্ধের মুখে। ৪০০ বছরের বেশি সময়ের এই পুজোর সাবেক ডাকের সাজের একচালা প্রতিমা এবার আসছে না নন্দীবাড়ির নাটমন্দিরে। করোনা আবহে আর্থিক মন্দার জন্য এবার ঘটপুজোই করছেন তাঁরা। ৪০৮ বছর আগে প্রাচুর্যের এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন রামচাঁদ নন্দী।এবার সেই পুজোই কিনা আর্থিক সমস্যার কারণে ঘটপুজো করে সারা হচ্ছে। তাই মন খারাপ মেদিনীপুরবাসীর। শহরের চিড়িমারসই এলাকার নন্দীবাড়িতে ৪০৮ বছর ধরে বৈষ্ণবমতেই দেবী দুর্গার পুজো হয়ে আসছে। ষষ্ঠীতে বোধন, সপ্তমীতে শহরের কংসাবতী নদীতে কলাবউ স্নান আর অষ্টমীতে বিশেষ শঙ্খ বাজিয়ে মায়ের আরাধনা। নবমীতে কুমারী পূজা এবং দশমীতে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে মায়ের বিদায়। এই বাড়ির পুজোর প্রাচীন প্রথা হল মায়ের মূর্তি কাঁধে চাপিয়েই কংসাবতী নদীতে বিসর্জন দিতে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এবার সেই প্রথায় ছেদ পড়তে চলেছে, কারণ প্রতিমাই এবার আসছে না নন্দী বাড়িতে।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم