দুর্গার মূর্তি বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হেমতাবাদের বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মনাঙ্ক। খুব ছোট থেকেই পরিবারের সকলের সাথে বাড়ির মণ্ডপে দুর্গা পুজোর অঞ্জলি দিত মনাঙ্ক। দেবী দুর্গা, ঝাঁকড়া চুলের অসুর, কিম্বা মস্ত হাঁ করে থাকা সিংহের দিকে তাকিয়ে থাকত অপলক দৃষ্টিতে। মাঝে মাঝেই বাবার হাত ধরে পৌঁছে যেত কুমোরটুলিতেও ঠাকুর বানানো দেখবে বলে। পালকাকুর সঙ্গে ভাব জমিয়ে দেখত কীভাবে তাল তাল কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি হয়।
সেই থেকেই মনের কোণে বাসা বেঁধেছিলো নিজের হাতে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করার ইচ্ছে। বাবা-মার বকুনি সত্ত্বেও এবার সেই স্বপ্নপূরণ হল হেমতাবাদ সারদা বিদ্যামন্দিরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মনাঙ্কর। ছোট্ট দুটি হাত দিয়ে আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। তাঁর পড়ার ঘরের এক পাশে আড়াই ফিট উচ্চতার দুর্গাপ্রতিমায় তুলির টান দিতে দিতে মনাঙ্ক জানায়, সে যখন আরও ছোট ছিল তখন থেকেই তার প্রতিমা বানানোর ইচ্ছে। এর আগে একবার খেলার ছলেই কালীপ্রতিমাও বানিয়েছিলো সে। গতবছরও দুর্গা বানিয়েছিল। তবে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর অঙ্কন শিক্ষক এবং পরিবারের সদস্যরা।
এবছর করোনা আবহে স্কুল বন্ধ, বাড়িতে বসেই অনলাইনে পড়াশোনা এবং পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাকে। পড়ার মাঝেই সুযোগ পেলে প্রতিমা তৈরির কাজে হাত দিচ্ছে মনাঙ্ক। এবছর রথযাত্রার পর থেকে কাঠামো তৈরির মধ্যে দিয়ে মনাঙ্ক মা দুর্গারপ্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছিল। মনাঙ্কর মা তনুশ্রী ভৌমিক জানান, বাড়িতে বসেই মনাঙ্ক প্রতিমা তৈরি করছে। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। তাদের বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। গত বছরের মত এবছরও মনাঙ্কর তৈরি প্রতিমার পুজো করা হবে তাঁদের বাড়ির মা দুর্গার প্রতিমার সাথে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback