করোনা আবহে আর্থিক সমস্যায় ভোগা দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা এককালীন অনুদান ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের দ্বিগুণ টাকা বাড়ানো হয়েছে পুজো অনুদানে। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলিকে আরও অনেক ছাড় দিয়েছেন তিনি। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন সিটু নেতা সৌরভ দত্ত। বিচারপতি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হল বৃহস্পতিবার। আর শুনানির প্রথম দিনেই রাজ্য সরকারকে আদালতের বেশ কয়েকটি কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। যেমন, অনুদান কি শুধু দুর্গাপূজাতেই দেয় সরকার? নাকি অন্য উৎসবেও দেওয়া হয়? গত ঈদেও কি অনুদান দেওয়া হয়েছিল? এরপরই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, দুর্গাপূজা নিয়ে আমরাও গর্বিত, কিন্তু তাই বলে কি যেভাবে ইচ্ছা টাকা দেওয়া যায়? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কি এই ভেদাভেদ করা যায়? এই সময় রাজ্যের তরফে আইনজীবীরা জানান, পুজো কমিটিগুলিকে মাস্ক-স্যানিটাইজার কেনার জন্য এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, আপনারা (সরকার) বলছেন যে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে মাস্ক-স্যানিটাইজার কেনার জন্য। এটা তো সরকার নিজেই কেন্দ্রীয়ভাবে কিনে করতে পারত। তাতে খরচও কম হত। দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে স্বভাবতই কলকাতা হাইকোর্টে অনেকটাই ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। কড়া ভৎর্সনার বাদেও আরও কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্লু-প্রিন্ট নেওয়া হয়েছে। কী কী সুরক্ষাবিধি মেনে চলছে রাজ্য। এরপরই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ সব কাজ পুলিশ করলে ক্লাবকে টাকা দেওয়ার কি যুক্তি?
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback