মণীশ খুনে ব্যারাকপুর-টিটাগড় পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে FIR

বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় এবার এফআইআর (FIR) দায়ের হল দুটি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতার নামে। মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমনি শুক্লা এই এফআইআর দায়ের করেন টিটাগড় থানায়। এই এফআইআরে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম রয়েছে ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান উত্তম দাস এবং টিটাগড় পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর। এছাড়া গোটা ঘটনার পরিকল্পনায় ছিল টিটাগড় এলাকায় আরও দুই তৃণমূল নেতা রাজেন্দ্র যাদব এবং নাজির খান। তাদের নাম রয়েছে এফআইআরে। পাশাপাশি সিআইডি-র হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া খুররম খানের নামও রয়েছে। এছাড়া রঞ্জিৎ পাল ওরফে রুনু, বাঁটুল, আরমান মণ্ডল, ভোলা প্রসাদ-এর মতো কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের নাম রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিকর ৩০২ (খুন) ৩৪ (একসঙ্গে অপরাধ করা) এবং ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং ২৫/২৭ অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা শুরু করেছে।

ছবি: তৃণমূল নেতা মদন মিত্র এবং নির্মল ঘোষের সঙ্গে ধৃত খুররম

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে সিআইডি গ্রেফতার করে খুররম খান এবং গুলাব শেখ নামে দুজনকে। পুলিশের দাবি ছিল এই খুন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই করেছে খুররম। তাঁকে সাহায্য করেছে পেশাদার খুনি গুলাব শেখ। কিন্তু নিহত বিজেপি নেতার বাবার দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থেই শাসক দলের এই নেতারা (যাদের নাম রয়েছে এফআইআরে) তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। অপরদিকে ধৃত খুররমের কাকা ও এক তুতো দাদাও মণীশ খুনে খুররম জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন না। তাঁদের দাবি, মণীশের সঙ্গে খুররমের সংঘাত ছিলই। কিন্তু তা বলে সে খুন করবে না। কারণ কয়েক বছর হল খুররম অপরাধ থেকে সরে এসে ব্যবসায় মন দিয়েছিল। এমনকি অপর ধৃত গুলাব ছিল খুররমের কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গী।

ছবি: টিটাগড় পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী ও তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে ধৃত খুররম

ধৃত দুজনকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতে পাঠায়। আগামী ২০ অক্টোবর তাঁদের ফের আদালতে হাজির করতে হবে। পুলিশ পুরো ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করলেও বিজেপি নেতারা সেটা মানতে নারাজ। নিহত মণীশের বাবাও জানাচ্ছেন, তৃণমূলই এই খুনের চক্রান্ত করেছে। অপরদিকে যাদের দিকে অভিযোগের তীর সেই প্রশান্ত চৌধুরী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘শুনেছি আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। দলের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি। দল নির্দেশ দিলে আদালতে জামিনের আবেদন জানাব’। যদিও ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান উত্তম দাসের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم