মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া চাওয়া হয় ২০ হাজার টাকা। সেই অ্যাম্বুলেন্সেই কিছু দূর যাওয়ার পর বিকল হয়ে যায়। আর বিকল অ্যাম্বুলেন্সের ভিতর ভেন্টিলেশন সিস্টেম কাজ না করায় মৃত্যু হল রোগীর। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বর্ধমান শহরের পুলিশলাইন এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম স্বপনকুমার দাস। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন স্বপনবাবু। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে বামচাঁদাইপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট সহ অ্যাম্বুলেন্স জোগার করতে বলা হয় তাঁদের।
সেইমতো অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করা হলে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের ওই হাসপাতালে যেতে ২০ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। কিছুটা পথ যাওয়ার পরই বিকল হয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। আর তাতেই বন্ধ হয়ে যায় ভেন্টিলেশন সিস্টেম। ফলে মৃত্যু হয় ৫৫ বছর বয়সী ওই রোগীর। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা তাতে ভাঙচুর চালায় অ্যাম্বুলেন্সে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও ২০ হাজার টাকা ভাড়া চাওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি ৫,৫০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। যান্ত্রিক কারনে অ্যাম্বুলেন্স বিকল হয়ে গেলেও ভেন্টিলেশন চালু ছিল। তাঁদের আরও দাবি, অ্যাম্বুলেন্স বিকল হওয়ার খবর পেয়েই দ্রুত সেখানে একজন চিকিৎসককে পাঠানো হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback