বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির ডানকুনিতে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দাবিতে নবান্ন অভিযান করছে বিজেপির যুব মোর্চা। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এদিন ডানকুনি টোল প্লাজার কাছেই পুলিশ রাস্তা আটকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসা বাস-গাড়ি। এরপরই ধুন্ধুমার শুরু হয় ডানকুনি টোল প্লাজা এলাকায়। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। এরপরই লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও লাঠির ঘা খেয়েছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে দেখা গিয়েছে লাঠি দিয়ে একটি বাসের সামনের কাঁচ ভাঙতে। চালকের সিটের দিকেও লাঠির ঘা দিতে দেখা যায় তাঁদের। বাঁধা দেন বিজেপি কর্মীরাও। ব্যস্ত রাস্তায় কিভাবে পুলিশ লাঠি চালাল সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই মোটরবাইক ও সাইকেলে অফিস যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। এই ঘটনায় তাঁরাও বিপদে পড়েন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে বাস ভাঙচুর করতে পারে? যদিও বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন ‘বাধা সত্ত্বেও নবান্ন আসবেন বিজেপি কর্মীরা’।
অপরদিকে, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতোর গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের। পরে অবশ্য তাঁদের সাঁতরাগাছির দিকে যেতে দেয় পুলিশ। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি মহিলা মোর্চার কয়েকজন সদস্য। এই ঘটনায় বিজেপির তিন মহিলা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback