বেঙ্গালুরু থেকে গয়না ভর্তি সিন্দুক কাঁধে ট্রেনে চেপে চম্পট দেয় এক চোর। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ফুটেজ চিহ্নিত করে শেষমেশ বিমানে চেপেই সেই চোরকে ধাওয়া করল বেঙ্গালুরু পুলিশ। আর তাতেই এল সাফল্য, ট্রেনের আগেই পুলিশ পৌঁছে গেল স্টেশনে, ট্রেন থেকে নামতেই বামাল ধরা পড়ল চোর বাবাজি। ঠিক যেন হিন্দি সিনেমার প্লট। ঘটনাটি হাওড়া স্টেশনের। ধৃতের নাম কৈলাশ দাস, তাঁর বাড়ি বর্ধমানে। হাওড়া পুলিশ ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় বছর ধরে বেঙ্গালুরুর জে পি নগরের রাজেশ বাবুর বাড়িতে কাজ করত কৈলাশ। ওই পরিবারের এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন অন্যান্য সদস্যরা। করোনার জেরে বাড়িও ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে গত ৯ অক্টোবর পরিচারক কৈলাশ ওই বাড়িতে একাই ছিল। এই সুযোগে সে বাড়ির ভিতর থাকা ইলেকট্রনিক্স সিন্দুক খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হতে সেটি তুলে নিয়েই চম্পট দেয় সে। জানা গিয়েছে প্রথমে সে মাইসুরু চলে যায়, সেখানেও সিন্দুকটি খুলতে পারেনি কৈলাশ। উল্টে সিন্দুকের চাবির ফোঁকরে স্ক্রু-ডাইভার ঢুকে আটকে যায়। ফলে সে সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমানে নিজের বাড়ি ফিরবে। অপরদিকে বাড়িতে সিন্দুক চুরির অভিযোগ দায়ের করে রাজেশ বাবুর পরিবার। সেখানে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও হীরের গয়না ছিল বলে পুলিশকে জানায় তাঁরা। পুলিশও কৈলাশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তখনই রেল পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারে চোর হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে উঠে পড়েছে। তড়িঘড়ি বিমানেই কলকাতা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল। সফলও হয় তাঁরা, হাওড়ায় ট্রেনটি ঢুকলে ওই কামরা থেকেই গ্রেফতার করা হয় কৈলাশকে। তঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সিন্দুকটিও। সেইসঙ্গে সমস্ত গয়না ও হিরে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback