সোনাপুরের পর এবার হুগলির পাণ্ডুয়া। ফের স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন নিয়ে বিক্ষোভ যাত্রীদের। হল অবরোধও। লকডাউনের পর থেকে প্রায় সাত মাস ধরে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। ফলে সাধারণ মানুষের কর্মস্থলে যাতায়াতের করতে কালঘাম ছুটছে। অপরদিকে রেলকর্মী ও জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য কয়েকটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে পূর্বরেল। এই ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের ওঠা নিষেধ। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে সাধারণ যাত্রীরাও উঠে পড়ছে এই ট্রেনগুলিতে। রেলরক্ষী বাহিনীও অভিযান চালাচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভও জমছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ বর্ধমান-হাওড়া ডাউন মেন লাইনে পাণ্ডুয়ায় আসে রেলের স্টাফ স্পেশাল একটি ট্রেন। ট্রেন মূলত রেল আধিকারিকদের জন্য। এই ট্রেনে উঠে কয়েকদিন ধরে লিলুয়া ও হাওড়ায় রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। এই নিয়ে সামান্য গোলমালও হয়েছিল। রবিবার সাতসকালে স্পেশাল ট্রেনটিতে চড়তে দেওয়ার দাবিতেই ধুন্ধুমার বাঁধে পাণ্ডুয়া স্টেশনে। ট্রেনটিকে প্লাটফর্মে ঘিরে ধরেই বিক্ষোভে ফেটে পরে সাধারন রেল যাত্রীরা। তাঁদের দাবী টিকিট কাউন্টার খুলতে হবে এবং সাধারন ট্রেন দিতে হবে। নতুবা এই স্পেশাল ট্রেনেই তাঁদের চড়তে দিতে হবে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে অবরোধ। বেলা পর্যন্ত ট্রেনটিকে ছাড়া হয়নি। কংক্রিটের স্লিপার তুলে রেল লাইনে ফেলে চলছে অবরোধ।
রেলের অভিযোগ, রেলকর্মীদের মারধোরও করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে আরপিএফ, রেল ও রাজ্য পুলিশের বিশাল বাহিনী। রেলের আধিকারিকরা যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। পাণ্ডুয়ার পর বেলার দিকে নতুন করে অবরোধ হয় হুগলি স্টেশনে। স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়ার দাবিতেই অসংখ্য মানুষ রেল লাইনে বসে পড়ে একটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন আটকে দেয়। উল্লেখ্য, দিন দু’য়েক আগে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সোনারপুর স্টেশনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ রেলযাত্রীরা। স্পেশাল ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার একই কারণে অবরোধ হল হুগলির পাণ্ডুয়ায়। প্রসঙ্গত আনলক পর্বে একে একে কারখানা, অফিস, শপিং মল, সিনেমা হল সহ মেট্রোরেল চালু হয়ে গেলেও লোকাল ট্রেন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলমন্ত্রক। ফলে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। রবিবার দুটি স্টেশনে অবরোধ বিক্ষোভ হল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback