হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন বিড়লা তারামণ্ডল থেকে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে যোগ দেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা, সাংসদ এবং বিধায়করা। ছিলেন অসংখ্য কর্মী-সমর্থকরাও। অপরদিকে একই ইস্যুতে মৌলালী থেকে ধর্মতলা থেকে যৌথ প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল বাম-কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল পুলিশি নিরাপত্তায় অবাধে পুরো পথ পরিক্রমা করলেও আটকে দেওয়া হল বাম-কংগ্রেসের মিছিল। বিরোধীদের বক্তব্য, এই রাজ্যেই গণতন্ত্র নেই, তাই একযাত্রায় পৃথক ফল। শনিবার বিকেলে বামফ্রন্ট ও প্রদেশ কংগ্রেসের এক যৌথ মিছিল মৌলালি থেকে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ধর্মতলা ঢোকার মুখে ওই মিছিলটি আটকায় পুলিশ। বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসা শুরু হয়। এরপরই কর্মী সমর্থকরা ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে বসে পড়েন। মশাল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, এটাই তৃণমূল সরকারের দ্বিচারিতা। একই ইস্যুতে তাঁরা পথে নেমে আন্দোলন করবে, পুলিশই তাঁদের নিরাপত্তা দেবে। আবার বিরোধীরা যদি পথে নামে তবে সেই পুলিশই তাঁদের বাঁধা দেবে। তৃণমূলের মুখোশ খুলে গেছে। একই বক্তব্য বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। বিগত কয়েকদিন বিজেপির সমস্ত কর্মসূচিতেই বাঁধা দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত কর্মসূচিতেই পুলিশের অনুমতি নেই। বিজেপি নেতৃত্বের তোপ, হাথরস নিয়ে যে অভিযোগ করছে তৃণমূল, সেগুলির থেকে বেশি করছে রাজ্যের শাসকদল ও পুলিশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback