'মশা মারতে কামান দাগা' বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ কি মারণ করোনা ভাইরাসের জন্য প্রযোজ্য? বেঙ্গালুরুর এক বৈজ্ঞানিক কিন্তু এমনই এক কামান আবিষ্কার করেছেন। যা কলকাতাতেই তৈরি হচ্ছে। 'Shycocan- The corona canon' নামের এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে High Frequency-তে ইলেক্ট্রন এসে ১০০০ স্কোয়ার মিটার এলাকা জীবাণু বা ভাইরাসমুক্ত করতে পারে। এতে করোনা ভাইরাসও খতম হচ্ছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। ডঃ রাজা বিজয় কুমারের মস্তিষ্কপ্রসূত এই যন্ত্রটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত।
করোনা আক্রান্ত কয়েকজন চিকিৎসকদের সঙ্গে সংস্থার কয়েকজন বিজ্ঞানী একই ঘরে কয়েকঘন্টা সময় কাটান, সেই ঘরে এই করোনা কামান দাগা ছিল বা যন্ত্রটি চালু ছিল। এরপর নির্দিষ্ট কয়েকদিন পর সকলের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। দেখা যায় প্রত্যেকেই করোনা নেগেটিভ। ইতিমধ্যে কলকাতার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ১২টি করোনা কামান বসানো হয়েছে। জানা গিয়েছে BCCI চলতি আইপিএলে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুম, প্লেয়ার্স কর্নারে এই যন্ত্র বসিয়েছে। অপরদিকে কলকাতার বেশ কয়েকটি বড় পূজামণ্ডপে এই করোনা কামান বসানোর তোড়জোড় চলছে।
ডঃ রাজা বিজয় কুমার
ডঃ রাজা বিজয় কুমারের মস্তিষ্কপ্রসূত এই যন্ত্রটি ইতিমধ্যেই ইউরোপ ও আমেরিকার বৈজ্ঞানিক মান্যতা পেয়েছে। সেখানে উৎপাদনও শুরু হয়েছে এই যন্ত্রটি। করোনা ভাইরাসের টিকা কবে বাজারে আসবে এটা এখনই বলা সম্ভব নয়। ওষুধও দূর অস্ত। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলা করতে করোনা কামান বিশেষ কার্যকর হবে এটা বলাই বাহুল্য। লকডাউন পর্ব শেষ করে ভারতে চলছে আনলক পর্ব। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম চালানো ভারতের মতো দেশে অসাধ্য। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে এই ধরণের যন্ত্র অনেকটাই কাজে দেবে। পরিবেশবান্ধব এই যন্ত্রটি সাইজে বেশ ছোট। ড্রামের মতো দেখতে যন্ত্রটি ঘরের যে কোনও জায়গায় বসানো যায়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback