কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল, যা এক মহাজাগতিক বিস্ময়। এই ব্ল্যাকহোলের টানে যদি কোনও তারা চলে আসে তাঁর কাছাকাছি তবে সেটিকে মূহূর্তে গিলে নেয় ব্ল্যাকহোল। কয়েক মূহুর্তে ছিন্ন-বিছিন্ন হয়ে ধুলোয় মিশে যায় একটি তারা। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এই ঘটনাকে বলা হয় ‘টাইডাল ডিসরাপশন ইভেন্ট’। এই ধরণের ব্যাপার ক্যামেরায় ধরা পড়া বিরল। এরকমই এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ধরা পড়ল টেলিস্কোপিক ক্যামেরায়। একটি বিশাল কৃষ্ণগহ্বর গিলে খাচ্ছে একটি তারাকে, আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে আলো। আমাদের পৃথিবী থেকে এই ঘটনা মাত্র ২১ আলোকবর্ষ দূরেই ঘটল। সোমবার 'ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরি' (ইএসও) থেকে এই মহাজাগতিক বিস্ময় ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। আলো একবছরে যতটা দূরত্ব যেতে পারে সেই দূরত্বকেই বলা হয় আলোকবর্ষ। যা কিনা এক ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। ফলে বুঝতেই পারছেন পৃথিবী থেকে কতটা দূরে ঘটলএই মহাজাগতিক ঘটনা। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে এই দূরত্ব খুবই কাছের। ফলে পৃথিবীর এতটা কাছে তারাকে গিলে খাচ্ছে কোনও এক ব্ল্যাকহোল, সেটা সচরাচর দেখা যায়না। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই ধরণের ঘটনা খুবই বিরল। পুরো বিষটি অতি দ্রুত ঘটে। তাই টেলিস্কোপিক ক্যামেরায় ধরা পড়েনা। একটি তারা ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি এলেই তাঁর মহাকর্ষীয় বলে ওই ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রের দিকে ছুটতে থাকে। এই সময় তারাটি অতি দ্রুত ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ধুলিকনায় পরিনত হয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড আগেও যে তারা আলো বিচ্ছুরণ করছিল, ব্ল্যাকহোলের মধ্যে গিয়ে সেটি বিলীন হয়ে যায়। তখন চারিদিকে একটা তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রে তৈরি হয়, যা কয়েকমাস ধরে থাকে। কিন্তু এবার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দেখলেন সেই মহাজাগতিক বিস্ময়। সূত্রের খবর, ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কৃষ্ণগহ্বরে বিলীন হওয়া তারাটি আমাদের সূর্যের আকারের। আর ব্ল্যাকহোলটি? সেটি আমাদের সূর্যের প্রায় ১০ লাখ গুণ বড়। ভাবতে পারেন।
How do the last moments of a star devoured by a black hole look like? #ESOCastLight #BiteSizedAstronomy #4K #UHDhttps://t.co/Z95YrjVl9S
— ESO (@ESO) October 12, 2020
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback