খুন নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তাঁর ভিসেরা পরীক্ষা করে এমনটাই মনে করছেন দিল্লি এইমসের বিশেষজ্ঞদের দল। চিকিৎসক সুধীর গুপ্তের নেতৃত্বে একটি দল অভিনেতার পোস্টমর্টেম এবং ভিসেরা রিপোর্ট পুনরায় পরীক্ষা করার পর মৃত্যুর কারণ হিসাবে আত্মহত্যাকেই চিহ্নিত করলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে এমনই রিপোর্ট দিয়েছে এইমসের বিশেজ্ঞ দলটি।
চিকিৎসক সুধীর গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘সুশান্তের মৃত্যু নিশ্চিত ভাবে আত্মহত্যার কারণেই হয়েছে। খুনের কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না’। তিনি আরও বলেছেন, ‘সুশান্তের ২০ শতাংশ ভিসেরা নিয়ে পরীক্ষা করে এইমস। বাকি ৮০ শতাংশকে আগেই ব্যবহার করেছিল মুম্বই পুলিশ’। অপরদিকে সুশান্ত মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়। প্রয়াত অভিনেতার ঘনিষ্ট দুজন রাজসাক্ষীর ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সুশান্তের রুম মেট সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনি নীরজ সিং হল এই মামলায় অন্যতম দুই নাম।
এই মামলায় এই দুজনকে বেশ কয়েকবার জেরা করা হয়েছে দুজনকে। ১৬৪ ধারা অনুযায়ী সিদ্ধার্থ ও নীরজের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। অভিনেতার মৃত্যুর দিন তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাটে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে সিদ্ধার্থ ও নীরজ অন্যতম। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যত নতুন দিক খুলছে, ততই জটিল হচ্ছে এই মামলা। সূত্রের খবর, এই মামলায় নতুন অনেক তথ্য দিয়েছেন নীরজ। দিশা সালিয়নের মৃত্যুর পর সুশান্ত সেভাবে খাওয়া দাওয়া করছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
দিশার মৃত্যুর পর সুশান্ত অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েননি তবে মর্মাহত হয়েছিলেন সিবিআইকে জানিয়েছেন নীরজ। সুশান্তের বাড়ির সব কর্মচারীরা রিয়ার কথা অনুয়ায়ী কাজ করতেন কেন সেই প্রশ্নে নীরজ জানিয়েছে সুশান্তই সেই অধিকার দিয়ছিল রিয়াকে। রিয়া নিজের থেকে বা সুশান্তকে অন্ধাকারে রেখে কিছু করেননি। এবার এই দুইজনকেই রাজসাক্ষী করার কথা ভাবা হচ্ছে বলেই সিবিআই সূত্রের জানা যাচ্ছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback