অপহরণের পর যুবকে টুকরো টুকরো করে কেটে নৃশংসভাবে খুন করল দুস্কৃতীরা। একাদশীর দিনই বৈদ্যবাটির কাছে দিল্লি রোডের ধারে উদ্ধার হল ওই যুবকের খণ্ড বিখণ্ড দেহ। অভিযোগের তির এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশালের দিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিষ্ণু মাল (২৩), বাড়ি চুঁচুড়া কামারপাড়া রায়েরবেড় এলাকায়। চলতি মাসের ১১ তারিখ বিষ্ণুকে বাড়ির সামনে থেকেই তুলে নিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত বিশাল দাসের দলবল। স্থানীয় মানুষদের অনুমান ক্রিকোণ প্রেমের জন্যই খুন হতে হল বিষ্ণুকে। অপরহরণের অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নেমেছিল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিস।
তদন্তকারীরা বিশালের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে, তাঁদের জেরা করেই দেহের হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণের দিনই খুন করা হয় বিষ্ণুকে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়। তারই অংশ বিশেষ এদিন উদ্ধার করে পুলিস। শ্রীরামপুর হাসপাতালের মর্গে দেহ চিহ্নিত করে পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় খুবই ভালো ছেলে ছিল বিষ্ণু মাল। নিরীহ ছেলের এরকম নৃশংস খুন মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশিরা। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে বিষ্ণুর কোনও খোঁজ না মেলায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালেই চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে পথ অবরোধ করে। এরপরই পুলিশ বিষ্ণুর টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবারই ধৃত দুজনকে হুগলি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও মূল অভিযুক্ত বিশাল এখনও অধরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback