দর্শকশূন্য মাঠ


করোনা আবহে থেমে ছিল খেলাধুলোর আসর। করোনার প্রকোপ সামান্য কমতেই ফের মাঠে ফিরেছে খেলা। কিন্তু যাদের জন্য খেলাধুলার আসর, সেই দর্শকদেরই নো-এন্ট্রি স্টেডিয়ামে। করোনার ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস সহ নানান খেলার আসর। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নির্দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দর্শকদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।  

তাতে কি কি ক্ষতি হতে পারে বা আদৌ কি ক্ষতি হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। স্বাভাবিক প্রশ্ন খেলা তো মাঠে গিয়েই দেখতে হয়। যদিও ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে সীমিত সংখ্যক দর্শকের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল স্টেডিয়ামে। কিন্তু ইউরোপীয় ফুটবলের আসরে দর্শকদের এখনও নো-এন্ট্রি। ভারতের আইএসএলও হচ্ছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।


ক্রীড়াপ্রেমী মানুষদের দাবি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ফুটবলে, সারা খেলা জুড়ে দর্শকদের চিৎকার ও গোল হলে ফেটে পড়া এ শুধু কলকাতা নয়, সারা বিশ্বেই পরিচিত দৃশ্য | সমর্থন ফুটবলের অঙ্গ, তা থেকে বিরত থাকা মস্ত বেদনার খেলোয়াড়দের কাছে। সদ্য প্রয়াত মারাদোনা তো প্রায়ই বলতেন, ‘আমি মাঠে নামি সমর্থকদের আনন্দ দিতে’। ক্রিকেটে সেঞ্চুরি বা উইকেট পেলে দর্শকদের করতালিই তো শক্তি জোগায় খেলোয়াড়দের। 

টেনিসে প্রতি পয়েন্টে যেমন করতালি। ইদানিং খেলার আসর বসলেও যেগুলি পাচ্ছে না খেলোয়াড়রা।  দ্বিতীয়ত গেট মানি বা টিকিটের মূল্যের প্রশ্ন, সে টাকা উঠবে কি ভাবে? টিভি বিজ্ঞাপন একটা রোজগার অবশ্যই, কিন্তু দর্শকের টিকিটের মূল্য বাদ দেওয়া যায় কি? প্রয়াত চুনি গোস্বামী ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস এই তিনটি খেলাই খেলেছেন, বলতেন, খেলি তো দর্শকদের জন্য।  আজ করোনা আবহে সবই ইতিহাস।  

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم