শুক্রবারই মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। একদিন নিভৃতবাসে থাকার পর রবিবার মহিষাদলে ফের অরাজনৈতিক সভা করেন। সোমবার আবার রাস উৎসবের সূচনা করলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন খোল বাড়িয়ে কীর্তনেও অংশ নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এদিন প্রথম নিজের বিধানসভা এলাকায় কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। আর নন্দীগ্রামের এই রাস উৎসবে এবারই প্রথম এলেন শুভেন্দু।
এক বিশাল শোভাযাত্রা সঙ্গে নিয়ে এদিন শুভেন্দু নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে রাস উৎসব প্রাঙ্গনে আসেন। ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর মঞ্চের কাছে পৌঁছে তো তিনি গলায় ঝুলিয়ে নিলেন একটি খোল, আর খোল বাজিয়ে মাতলেন কীর্তনে। এদিন তিনি নিজের ভাষণেও বোঝালেন রাসের মাহাত্ম। শুভেন্দু বলেন, ‘রাসের মূল মাহাত্ম্য বলে, প্রভু দর্শন দিতে আসেন ভক্তদের। প্রভু এবং ভক্তদের মিলন ঘটে মহা রাসে। এটাই হল মূল তাৎপর্য। সেই জন্যই আপনারা দেখবেন, কৃষ্ণ ও রামের নামের সহাবস্থানে হরেকৃষ্ণ মন্ত্র তৈরি হয়েছে’।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তিনি বহুবার নন্দীগ্রামে এসেছেন। এখানকার কোনও অনুষ্ঠানই তিনি বাদ দেননি। সেটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান, খেলা-মেলা-উৎসব সবেতেই তিনি সঙ্গী হয়েছেন নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে। এদিন অবশ্য কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মন্ত্রীত্ব ছাড়লেও দল ছাড়েননি, বিধায়ক পদও ছাড়েননি। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থামার কোনও লক্ষণ নেই।
এর আগে মহিষাদলে শুভেন্দুর সভার আগে শইবসেনার পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল এলাকা। সোমবার নন্দীগ্রামে রাস উৎসবের শোভাযাত্রায় দেখা গেল প্রায় একই ধরনের পতাকা। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের হাতে দেখা গেল হলুদ কাপড়ের ওপর ওম লেখা এক বিশেষ পতাকা। যদিও শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি, এই পতাকা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। আর নন্দীগ্রাম রাস উৎসব কমিটি জানিয়েছে, এই ধরনের পতাকা আগেও দেখা গিয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback