মালদার দমনটোলা গ্রামে দেওরের কুপ্রস্তাবে বৌদি রাজি হননি। তার জেরে পেটে লাথি মেরে খুন করা হল তাকে। মৃতার পরিবার তরফ থেকে স্বামী সহ ৫ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর থেকে পলাতক মৃতার স্বামী সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভুতনি থানার পুলিশ।
মালদার ভুতনি থানা এলাকার দমনটোলা গ্রামে ফটিক মণ্ডলের সাথে বিয়ে হয় মৃত প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের।। আড়াইবছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে প্রচুর পরিমাণে যৌতুক দেওয়া হয় বলে জানান মৃতার মা দয়াবতী দেবী। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির জেরে তার মেয়েকে প্রায় স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা মারধোর করতো বলে অভিযোগ করেন। এমনকি ফটিক মণ্ডল স্থানীয় এক মহিলার সাথে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলেও জানিয়েছেন। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা সহ দেওর সাহেব মণ্ডল প্রিয়াঙ্কা মন্ডলকে বারবার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তাতে রাজি না হয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসে মৃতার পরিবারের লোকেরা। তাঁরা গিয়ে দেখেন প্রিয়াঙ্কাকে বাড়িতে ফেলে রেখে পরিবারের সদস্যরা সকলে পালিয়ে গিয়েছে। মেয়েকে উদ্ধার করে তাঁরা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের মৃত্যু হয়। ঘটনার স্বামী ফটিক মণ্ডল সহ ৫ জনের নামে ভুতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback