হায়দরাবাদের পুরভোটে সবথেকে বেশি আসন পেলেও চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি গরিষ্ঠতা পেল না। ১৫০টি ওয়ার্ডের মধ্যে টিআরএস পেয়েছে ৫৫টি আসন। তবে মেয়র পদটি থাকছে তাদের হাতেই। অন্যদিকে, দারুণ ফল বিজেপির। ৪৮ আসনে জিতে তারা দ্বিতীয় স্থানে। তৃতীয় স্থানে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিশ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। মিম পেয়েছে ৪৪টি। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ২টি। চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম একটি আসনেও জিততে পারেনি। আগের নির্বাচনে টিআর এস জিতেছিল ৯৯টি আসনে। বিজেপি মাত্র ৪টিতে।
ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, টিআরএসের ভোট কমেছে ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে, ডুব্বাকি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে জয়ের পর এতদিন এই রাজ্যে প্রায় অনুপস্থিত বিজেপি এবার সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ভোটপ্রচারে। অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, জি পি নাড্ডা থেকো শুরু করে হেভিওয়েট বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা প্রচারে এসেছিলেন। এবারের পুরভোটে নাগরিক অভাব অভিযোগের থেকে বিজেপির প্রচারে জোর পেয়েছেল জিন্না, পাকিস্তান, ভাগ্যনগরের মতো ইস্যু। টিআরএসের বক্তব্য, এই ফল আশামতো হয়নি। দল ২০-২৫টি আসন কম পেয়েছে। ১০-১২টি আসনে জয়ের ফারাক ছিল ২০০-রও কম ভোটের। নাড্ডার কথায়, হায়দরাবাদের ভোটে ২০২৩ সালের বিধানসভার ভোটের সম্ভাবনা পরিষ্কার। দুর্নীতিগ্রস্ত টিআর এস সরকারের বিদায় অনিবার্য।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback