তিনি বলেন, এতো
ভয় কীসের আমার নাম নিতে পারেন না। এরা খেতে খুব ভালোবাসে। দিল্লিতে তে
কৃষকরা আন্দোলন করছে। তাদের ঠেঙিয়ে দিচ্ছে তোমার দিল্লি পুলিশ। তাঁদের
কাছে যাওযার তো সাহস নেই। সেই অমিত শাহ এসে কখনও বাঁকুড়া, কখনও মেদিনীপুরে
এসে খেয়ে যচ্ছেন। বিজেপিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর দাবি, ‘নোট বাতিলের সময় লাইন পড়েছিল, সেটি ছিল আতঙ্কের লাইন, আর
দুয়ারে সরকারে লাইন পড়ছে, এটা ভরসার লাইন’। তিনি জেপি নাড্ডার সভা
প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন। অভিষেকের দাবি, আমাদের জনসভা করতে কলকাতা থেকে
বাসে করে লোক আনতে হয় না। গত ১০ তারিখ জেপি নাড্ডা এসেছিলেন, লোক কত
হয়েছিল? আমি লোক দেখতে পাইনি। কোনওদিন শুনেছেন, ভিআইপি কনভয়ে মিনিবাস
থাকে, বাইক থাকে? কিছু মানুষ পথ আটকেছিল, কয়েকজন ইট ছুড়েছে, এটা ঠিক
করেননি। আমি আবেদন করবো ইট মেরে নয়, ইভিএম জবাব দিন। এদিন মেদিনীপুরের
দাঁতনে সভা রয়েছে শুভেন্দুর, সেখান থেকে তিনি অভিষেকের বক্তব্যের কোনও জবাব
দেন কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় বাংলার আম জনতা।
নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে তুমুল আক্রমণ করলেন
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে সভা করেন অভিষেক। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী
দলত্যাগ করার পর এটাই তাঁর প্রথম প্রকাশ্য জনসভা। তাই সকলেরই আগ্রহ ছিল
তিনি কি বলেন। প্রত্যাশা মতোই তিনি শুভেন্দু সহ বিজেপি এবং অমিত শাহ-কে
তুমুল আক্রমণ করলেন। শুভেন্দু ইস্যুতে অভিষেক বললেন, রাজ্যে কোথাও পদ্মফুল
ফটবে না। হঠাৎ করে এতো প্রেম? বলছে অমিত শাহ আমার দাদা, ২০১৪ সাল থেকে অমিত
শাহের সঙ্গে নাকি তাঁর যোগাযোগ ছিল। করোনার মতো আমাদের দলেও উপসর্গহীন
বেইমান আছে।
এরপর আরও সুর চড়িয়ে তিনি বলেন,
‘তৃণমূল করতে যদি এতই অপমানিত বোধ হয়, তাহলে এক বাড়িতে বাবা-ভাইয়ের
সঙ্গে থাকেন কী করে। আসলে মেরুদণ্ড বিকিয়ে বিজেপিতে গিয়েছ তুমি’। এরপরই
তাঁর চ্যালেঞ্জ, আগামী দিনেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩১-০ করবো। তাঁকে
তোলাবাজ বলায় এদিন কার্যত ফুঁসে ওঠেন অভিষেক। তাঁর কটাক্ষ, টিভির পর্দায়
ঘুষ খেতে তোমাদের দেখা যাচ্ছে। ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে বিজেপিতে যাচ্ছ তোমরা।
আর বলছ তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। যেদিন আমার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ প্রমাণ
করতে পারবে, সেদিন আমি ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব। আমার পিছনে
সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর দিতে হবে না। ওদের আমি ভয় পাই না। এরপরই ‘ভাইপো’
প্রশ্নে গর্জে ওঠেন তৃণমূল যুব সভাপতি। তাঁর নাম নিয়ে কথা বলুক বিজেপি
নেতারা, খোলা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback