সোমবার নবান্নের ধাঁচে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক দফতর উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শিলিগুড়ি। বিজেপির দাবি, এই অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের ফুলবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন বিকেলেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ওই হাসপাতালে যান আহত কর্মীদের দেখতে। এই হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের।
হাসপাতালে দাঁড়িয়েই দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘উলেন রায়কে হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁর গায়ে বন্দুকের গুলির ছিটে ছিল। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে সঠিক কারণটা। তবে হাসপাতালে আহত ১৫ জন বিজেপি কর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। প্রত্যেকের শরীরে গুলির ছররার চিহ্ন। দেখে মনে হচ্ছে পাখি মারার বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, এক শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকাতে জলকামান, রাসায়নিক জল, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি এমনকি আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকে ইট-বোমাও মেরেছে পুলিশ। তিনি এদিনের ঘটনাকে বাম আমলের নন্দীগ্রামের ঘটনার সঙ্গেও তুলনা করেন।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘নন্দীগ্রামের কায়দায় আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। বাড়ির ছাদ থেকে বোমও ফেলা হয়েছে। পুলিশ ও তার গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে। পুলিশ অস্বীকার করেছে কিন্তু এমন ঘটনা কেন ঘটেছে পুলিশকে জবাব দিতে হবে। আমাদের একাধিক কর্মী সমর্থকদের চোট লেগেছে’। পুরো ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন তিনি শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়েই মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ঘোষণা করেন।
এদিন হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনিও পুলিশের ভূমিকার নিন্দা প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে কলকাতায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল রাজভবনে যান। রাজ্যপালের কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আসেন। এই দলে ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, জয়প্রকাশ মজুমদার।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback