রাতের অন্ধকারে চিতাবাঘের হানায় জখম একই পরিবারের তিন সদস্য। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের উপরও হামলা চালায় সেটি। সেই সময় আত্মরক্ষার জন্য এক বনকর্মীর গুলিতে মৃত্যু হয় চিতাবাঘটির। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের রাঙাপানি এলাকার ধোতিজোত গ্রামে।
বনদফতর সূত্রে খবর, রাতে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। আচমকাই চিতাটি একটি বাড়িতে ঢুকে পরে। ওই সময় ঘরেই শুয়ে ছিলেন কমল সরকার। বাঘের হামলায় তাঁর মুখে, ঘাড়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাঁর চিৎকার শুনে ছুতে আসেন ছেলে এবং শ্যালক। তাঁদের ওপর হামলা করে চিতাটি।
বাড়িতে চিৎকার শুনে জড়ো হন গ্রামবাসী, তাঁদের তাড়া খেয়ে চিতাটি পাশের একটি ঘরে ঢুকলে, দরজা বন্ধ করে খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। জখম কমল সরকার, তাঁর ছেলে শুভ সরকার ও শ্যালক দিবাকর সরকারকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে এসে বনকর্মীরা জাল দিয়ে প্রথমে চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সময় দরজা খুলতেই তাঁদের ওপরও ঝাঁপিয়ে পরে বাঘটি। আক্রমণ থেকে বাঁচতে একজন রেঞ্জার গুলি চালান, তাতেই মৃত্যু হয় চিতাবাঘটির।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback