এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহারের জনসভা থেকে তিনি দাবি করলেন, ‘বিজেপি যা করছে তা ‘শুনলে লজ্জা পাবেন। একটা দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে ফেলছে। চিন্তা করে দেখুন, কতটা ভয়ানক বিজেপি!’ এর আগে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ‘আইপ্যাক’ বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ দিতে ‘অফার’ করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর মুখ থেকেই এল ভয়ানক অভিযোগ।
এদিন মমতা বলেন, ‘দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। রাজ্যসভার সাংসদ। সেই সুব্রত বক্সিকে সেদিন ফোন করেছে। বলেছে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। বিজেপি কোথায় গেছে বুঝুন। ন্যূনতম ভদ্রতা, সৌজন্য লজ্জাটুকু নেই ওই দলটার’। এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী, এরপরই অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, ‘কালকে আমাকে আমাদের বীরভূমের জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল ফোন করেছিল। বলল ওকে দিল্লি থেকে একজন ফোন করেছিল। বসতে চেয়েছিল। কিন্তু ও বলেছে আমি তো মমতা ব্যানার্জির দল করি, তোমার সঙ্গে কেন বসব?’
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই বক্তব্য শোনার পর রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে শাসকদলে ভাঙন ততই স্পষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীদের প্রকাশ্যেই বিজেপিতে যোগদানের আহ্বান করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরমধ্যেই কোচবিহার-দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আরও কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক বেসুরো হয়ে দলের বিরুদ্ধেই তোপ দাগছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তাঁদের বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন এই ইস্যুতে। তিনি বলেন, যারা তৃণমূল করছে তাদের প্রত্যেকের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাঁরাই উল্টে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আর রাজনীতিতে আলোচনা করতে চেয়ে ফোন করা খুবই স্বাভাবিক। এরমধ্যে অস্বাভাবিকতা নেই।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback