দলের বেসুরোদের নিয়ে এবার মাঠে নামছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী সহ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। তাতে কিছুটা ঠিক হলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়নি। তাই এবার স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীই আসরে নামতে চলেছেন, তৃণমূল সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তিনি নিজেই এবার বেসুরো নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন, তাঁদের সমস্যা ও ক্ষোভ জানতে।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে দলের বেশ কয়েকজন নেতা দলের প্রতিই ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন ক্রমাগত। ক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পরতে শুরু করেছে উঁচুতলা থেকে নিচুতলায়। বিক্ষুব্ধদের তির মূলত প্রশান্ত কিশোরের দিকেই। তিনি দলের সাংগঠনিক কাজে বারেবারে হস্থক্ষেপ করার অভিযোগ উঠছে বিক্ষুব্ধদের তরফে। শুভেন্দু অধিকারী সহ মিহির গোস্বামী দল ছাড়ার আগে ও পরে এই বিষয়েই তোপ দেগেছিলেন। শুভেন্দুর সঙ্গেই দল ছেড়েছেন তৃণমূলের এক সাংসদ সহ কয়েকজন বিধায়কও। ভোটের মুখে এটা বেশ বড় ধাক্কা শাসকদলের কাছে। তাই অন্যান্য বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তৃণমূল নেত্রী। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবার তিনি নিজেই আসরে নামতে চলেছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই তিনি মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে রাজীবের সঙ্গে দুবার আলোচনা করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজীব। ফলে সাময়িকভাবে সমস্যা মিটলেও এবার নেত্রী নিজেই কথা বলতে চান রাজীবের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়েও সমস্যায় পড়তে পারে শাসকদল। প্রশান্ত কিশোর এই বিষয়েও বড় ভূমিকা নিতে চাইছিলেন। যা নিয়েও দলের অন্দরে ক্ষোভ জন্মাচ্ছিল। এবার দলের পুরো রাশ ফের নিজের হাতে নিয়ে সেই ক্ষোভ অচীরেই বিনাশ করতে উগ্যোগী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback