নিতুড়িয়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির ১ ঘণ্টা আগেই পালিয়ে যায় কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত? কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অন্দর থেকেই তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা সে নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। কয়লা পাচার তদন্তে পলাতক কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে মরিয়া চেষ্টা করছে সিবিআই। সোমবার নিজাম প্যালেসে জেরা এড়াতে অসুস্থতার অজুহাত দেখায় সে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে নিতুড়িয়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তার আগেই পালিয়ে যায় লালা। এরপরই মঙ্গলবার লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে সিবিআই।
এদিকে কোন পথে লালা পালিয়েছে তার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। লালার হদিশ পেতে হাইওয়ের উপর কলকাতা ও ধানবাদ মুখী সবকটি টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। এর আগেও পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে লালা এবং তার শাকরেদ জয়দেব মণ্ডল। কোনও না কোনও ভাবে খবর পেয়ে তল্লাশির ঠিক আগেই বিদেশে পালিয়ে যেত। তবে এবার রীতিমতো ফাঁদ পেতে পাকড়াও করা হয় লালার শাকরেদের। তাদের জেরা করে লালার বিরুদ্ধে নানা তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কয়লা পাচার তদন্তে নেমে বড়সড় কেলেঙ্কারির হদিশ পেয়েছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তের নেমে পশ্চিমবঙ্গ সহ ৪৫টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। লালা ছাড়াও ইসিএলের দুই জেনারেল ম্যানেজার, তিন অফিসার, ইসিএল, সিআইএসএফ ও রেলের কয়েকজন অফিসারের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এবার বিগত তিন বছরে ইসিএলের ৯০টি খাদান থেকে কত পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হয়েছে, সেই সংক্রান্ত হিসেব জানতে কয়লামন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে কয়লা খনি-খাদানের পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন দিক যাচাই করানোরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কোন খাদান থেকে কত পরিমাণ কয়লা তোলা সম্ভব আর সেই জায়গায় কতটা তোলা হয়েছে, তা নিয়ে পরিদর্শকদের বিস্তারিত রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সিবিআই।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback