আমাদের সৌরজগতে সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি, আয়তনে এর ঠিক পরেই রয়েছে শনি। আর এই দুই বিশালাকার গ্রহ যদি জুটি বাঁধে তবে রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করবেই। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই বিরল ঘটনা ঘটবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। দুই দৈত্যাকার গ্রহ একেবারে কাছে চলে আসবে ওইদিন।
এককথায় ওইদিন দুই গ্রহ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে, আর উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম আকাশে দেখা যাবে। খালি চোখেই দুই গ্রহের অস্তিত্ব বোঝা যাবে, তবে টেলিস্কোপ হলে আরও ভালো।
বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছেন, খালি চোখেই এই দুই বৃহৎ গ্রহের যুগলবন্দি দেখা যাবে, তবে দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম আকাশে অনেকটা খোলা জায়গা বা কোনও বহুতল হলে ভালো হয়। আর যদি টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলার থাকে তবে তো সোনায় সোহাগা।
আয়তনে বৃহস্পতি শনি গ্রহের থেকে ১.৭৩ গুন বড়। আর দুই গ্রহের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৭৩ কোটি কিলোমিটার। যা দূরত্বের নিরিখে অনেকটাই। তবে তাঁর কাছাকাছি আসবে কী করে? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বড়দিন পর্যন্ত দুই গ্রহ কাছাকাছি অবস্থান করবে। আর ২১ ডিসেম্বর থাকবে সবচেয়ে কাছাকাছি, ফলে দুই গ্রহকে দেখে মনে হবে যুগ্ম তারা। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৮০০ বছর পর এই বিরল দৃশ্য দেখা যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। এর আগে ১২২৬ সালের ৪ মার্চ শেষবার দেখা গিয়েছিল এই যুগলবন্দি।
আমেরিকার টেক্সাস রাইস ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক প্যাট্রিক হার্টিগান জানালেন, 'এই দুই গ্রহের বিন্যাস অত্যন্ত বিরল। প্রতি ২০ বছর পরপরই এদের মধ্যবর্তী দূরত্ব পালটে যায়। কিন্তু এই যুগলবন্দি অত্যন্ত বিরল। কারণ এই সময় একে অপরের অনেক কাছে চলে আসবে তারা। এমন এক মহাজাগতিক ঘটনা দেখার জন্য বহু বছর অপেক্ষা করতে হয় বিজ্ঞানীদের। তবে আপাতদৃষ্টিতে দুই গ্রহকে যতই কাছাকাছি দেখা যাক না কেন, বাস্তবে তাদের মধ্যে কয়েকশো হাজার লক্ষ মাইলের দূরত্ব বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে নাসা।
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধে ৬টার মধ্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম আকাশে দেখা যাবে দুই গ্রহের যুগলবন্দি। যাঁদের কাছে বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ রয়েছে, তাঁদের বাড়তি পাওনা বৃহস্পতির চার উপগ্রহ গ্যানিমিড, ক্যালিস্টো, আইও ও ইউরোপা এবং শনির উপগ্রহ টাইটান দেখার সুযোগ।
Between the orbits of Mars & Jupiter is mysterious dwarf planet, Ceres. @NASA_Dawn got a close look and found ice in its crust. Astrobiologist Britney Schmidt discusses the implications on this week's #GravityAssist podcast.
— NASA (@NASA) December 19, 2020
Listen & subscribe: https://t.co/DWu5okdm9w pic.twitter.com/UlOWnH9c8I
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback