তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও নির্মমভাবে খুনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা শোনাল বিহারের সমস্তিপুরের বিশেষ পকসো আদালত। প্রায় দুইবছর ধরে মামলা চলার পর একটি ভিডিও কনফারেন্সে এই মামলার রায় দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, ২০১৮ সালে জুন মাসে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসে সাত বছরের দাদার সঙ্গে খেলছিল ছোট শিশুটি। সেইসময়ই বছর রামলাল মাহাতো নামের অভিযুক্ত যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে বিকেল থেকে রাত হয়ে গেলেও শিশুটি বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাড়ির লোকজন। ভয়ে প্রথমে কিছু না বললেও পরে শিশুটির দাদা জানায়, একজন বোনকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।
এরপরই প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, অনেকেই শিশুটিকে ওই যুবকের সঙ্গে দেখেছে। কিন্তু রাতে অনেক খুঁজেও কোনও সন্ধান মেলেনি। পরদিন সকালে শিশুটির মৃতদেহের সন্ধান মেলে, তবে তার শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ভারি কিছু দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল শিশুটিকে। ক্ষতবিক্ষত ছিল তাঁর যৌনাঙ্গ।
শিশুটির মা থানায় এফআইআর দায়ের করলে তদন্তে নেমে পুলিশ রামলাল মাহাতোকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় আটজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেয় আদালত। ফরেনসিক রিপোর্টেও বলা হয় শিশুটিকে হত্যার আগে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। শিশুটির দাদার জবানবন্দিও নেওয়া হয়। দুবছর ধরে মামলার শুনানি চলার পর তিনদিন রামলালকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এবার ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারা অনুসারে তাকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback