শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপির পথে ভাই সৌম্যেন্দু?

কাঁথির অধিকারী পরিবার নিয়ে জল্পনা চলছেই রাজ্য রাজনীতিতে। বাবা শিশির অধিকারী কাঁথির সাংসদ, বড় ছেলে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক, মেজো ছেলে দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ এবং ছোট ছেলে সৌম্যেন্দু কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান বা পুর প্রশাসক। শুভেন্দু তৃণমূলের পতাকা ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছেন বিজেপির পদ্ম-পতাকা। কিন্তু পরিবারের বাকি সদস্যরা কি করবেন সেটা নিয়েই ছিল মূল জল্পনা। এরমধ্যেই কাঁথির মুখ্য পুরপ্রশাসক হিসেবে সৌমেন্দুকে বরখাস্ত করে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। ফলে জল্পনা আরও তীব্র হয় রাজ্য রাজনীতিতে। এবার দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে সৌম্যেন্দুও এবার গেরুয়া শিবিরেই যেতে চলেছেন সৌমেন্দু, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। বছর পয়লাতেই কাঁথিতে কর্মীসভা করবেন শুভেন্দু, শোনা যাচ্ছে ওই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সৌম্যেন্দু। তাঁর সঙ্গেই আরও কয়েকজন কাউন্সিলর বিজেপিতে যেতে পারেন। 

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কাঁথি পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দু বিরোধী অখিল গিরির ঘনিষ্ঠ সিদ্ধার্থ মাইতিকে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয় দফতর এক নির্দেশিকায় জানায়, কাঁথির বর্তমান প্রশাসনিক বোর্ড ভেঙে দেওয়া হল। এর জেরে সৌমেন্দু সহ বাকি সদস্যদের আর পদ থাকল না। যদিও নতুন দায়িত্বে সিদ্ধার্থ মাইতির সঙ্গে পুরোনো কয়েকজন সদস্যকেও নতুন প্রশাসকমণ্ডলীতে রাখা হয়েছে। এখানেই ক্ষোভ জন্মেছে আধিকারী পরিবারে। তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দুর মেজো ভাই দিব্যেন্দুও ক্ষুব্ধ ভাইয়ের অপসারণে। সূত্রের খবর, কেন তাঁর ভাইকে সরানো হল এটা জানতে চেয়ে তিনি সরাসরি চিঠি দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই উত্তর ২৪ পরগনার খড়দায় এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ‘আমার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাব, তোমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটিয়ে আসব’। পরিস্থিতি কি সেই দিকেই এগোচ্ছে? উত্তর জানা যাবে আর কয়েকদিনের মধ্যেই। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم