দিল্লি অবরুদ্ধ করার দিকে এগোচ্ছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। পূর্ব ঘোষণা মতোই আন্দোলন আরও তীব্রতর করে চারদিক থেকে দিল্লিকে ঘোরাও করতে এবং সমস্ত টোল প্লাজাগুলি অবরুদ্ধ করতে উদ্যত হয়েছেন কৃষকরা। উল্লেখ্য শুক্রবারই তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন টোল প্লাজা অবরুদ্ধকে টোল আদায়ে বাধা দেবেন তাঁরা। সেই মতো শুক্রবার রাত থেকেই হরিয়ানার অম্বালায় শম্ভু টোল প্লাজা ও বস্তারা টোল প্লাজা বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা।
শনিবারই ১৭ দিনে পড়ল কৃষকদের দেশজোড়া আন্দোলন। কৃষি নতুন আইন বাতিলের দাবিতে তাঁরা দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে জমায়েত করে রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। এমনকি তাঁরা এই আইন বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তাঁরা। অপরদিকে বিজেপির জোটসঙ্গী জননায়ক পার্টিও এবার জোট ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে। দলের নেতা দুষ্মন্ত চৌতালা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিজেপি সরকার যদি কৃষকদের দাবি না মানে তবে তিনি পদত্যাগ করবেন।
কৃষকদের কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত সহ আশেপাশের বেশ কিছু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একইভাবে দিল্লি-জয়পুর রোডেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। কারণ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।
পাশাপাশি রাজধানী দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলও নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বিজেপির দাবি, কৃষক আন্দোলনের মধ্যে কট্টরপন্থী বাম সংগঠনগুলি আন্দোলনের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ফলে পুলিশকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে বলেই জানিয়েছে দিল্লি বিজেপি।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback