কৃষি আইন বাতিলের দাবি নিয়ে অনড় কৃষকদের সঙ্গে অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকে বসছে কেন্দ্র। কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগে ঠিক হয়েছিল, বৈঠক হবে ৩ ডিসেন্বর। তারই মধ্যে কৃষক আন্দোলন আরও তীব্র হওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আসরে নামতে হয়।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে সোমবার দুইবার বৈঠকের পর বৈঠকের দিন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, প্রবল ঠান্ডা এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৩ তারিখের আগেই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বৈঠকে নীতি আয়োগের কয়েকজন অর্থনীতিবিদও থাকবেন। পরিসংখ্যান, ভিডিও দেখিয়ে কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।
অন্যদিকে, রাজধানীর সীমান্তে অবস্থানরত কৃষকরা কৃষি আইন প্রত্যাহার করা না হলে দিল্লি অবরুদ্ধ করার হুমকি দিয়েছেন। ক্রমশই দলে ভারী হচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কৃষকরা এসে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে। কৃষকরা এখন দাবি তুলেছেন, তাঁদের ৩২টি সংগঠন নয়, বৈঠকে ডাকতে হবে ৫০০টি সংগঠনের সবাইকে। না হলে বৈঠকে যাবেন না তাঁরা।
দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের অভিযোগে কৃষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, তাদের ৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন, ভাঙচুর হয়েছে দুটি সরকারি বাস। শুক্রবার থেকেই সিঙ্ঘু সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন প্রচুর মানুষ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback