কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এবার রেল অবরোধের ডাক দিতে চলেছেন কৃষকরা। কেন্দ্রে সঙ্গে আবার বৈঠকের সম্ভবনা তাঁরা নাকচ করে দিয়েছেন। শনিবার থেকে গোটা দেশেই শুরু হবে রাস্তা অবরোধ। সেইসঙ্গে বিজেপির নেতা, মন্ত্রীর বাড়ি, অফিস ঘেরাওয়েরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অবস্থান শুক্রবার ১৫ দিনে পড়েছে। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, আলোচনার দরজা খোলা। চাষিদের আপত্তি শুনতে সরকার রাজি। কৃষকরা আন্দোলন তুলে নিন।
দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কর্তব্যরত দুই আইপিএস অফিসারের করোনা ধরা পড়েছে। তাদের এখন নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন। দিল্লি পুলিশ শারীরিক দূরত্ববিধি না মানায় কৃষকদের বিরুদ্ধে অতিমারি আইনে এফআইআর করেছে। গত ২৯ নভেম্বর থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে বসে রয়েছেন কৃষকরা। অন্যদিকে, কৃষকরা জানিয়েছেন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে তাঁরা এবার রেললাইন অবরোধ করবেন। তাঁরা অবরোধের দিনক্ষণ জানিয়ে দেবেন। রাজ্যকে এড়িয়ে কী করে কেন্দ্র এই আইন করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কৃষকরা বলছেন, এই আইন যে ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই তা কবুল করছে কেন্দ্রই। কৃষক নেতা বরবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, ফের বৈঠকের জন্য কেন্দ্রে অনুরোধে তাঁরা সাড়া দেবেন না।
কৃষি আইনে বাতিলের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কৃষক সংগঠন। এনিয়ে ৬টি মামলা ঝুলছে শীর্ষ আদালতে। তার একটি ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবার। কেন্দ্রকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুনানি হওয়ার কথা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback