রাজ্যে অতিমারীর সময়ে জরুরি স্বাস্থ্যসামগ্রী কেনায় দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর মতে, এই দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত। "অতিমারীর সময় দুর্নীতির কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। পারচেস রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। যারা প্যান্ডামিক সময়ে টাকা কামাতে চেয়েছে, তারা সমাজের লজ্জা।"
কলকাতায় করোনার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করল ভারত বায়োটেক সংস্থা। বুধবার সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আইসিএমারের কার্যালয়ে 'কোভ্যাক্সিন'-এর তৃতীয় পর্যায়ের প্রয়োগের সূচনা করেন। এদিন রাজ্যপাল নিজেও টুইটে করে এই কথা জানান। প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে বায়োটেক সংস্থা তাদের কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের প্রয়োগের কথা জানিয়েছিল। আইসিএমারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রয়োগ সিটিআরআই এর ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগেরও ছাড়পত্র পেয়েছে।
সংস্থার তরফে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবীদের ২৮ দিনের ব্যবধানে ২টি ইনজেকশন দেওয়া হবে। তবে এই প্রয়োগের বিভিন্ন ধাপে যথাসম্ভব গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে, গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী বা সংস্থা কেউই জানতে পারবেন না কাকে কোন দলের আওতায় রাখা হবে। আইসিএমআরের ডিরেকটর শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, আগের যে দুটি ট্রায়াল হয়েছে কোভ্যাকসিনের, তার ফল যথেষ্ট আশাপ্রদ। মোট স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা ২৫,৮০০ জন, যার মধ্যে নাইসেডে ট্রায়াল হবে ১০০০ জনের। ১০০০ জনের মধ্যে ৫০০ জন পাবেন কোভ্যাকসিন এবং প্লাসিবো পাবেন ৫০০ জন। বেশ কয়েকটি শর্ত ও শারীরিক পরীক্ষার পরই এই ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবেন। তৃতীয় পর্যায়ের এই ট্রায়ালে দেশজুড়ে কাজ করবে ২৪টি সংস্থা। যাদের মধ্যে একটি হল নাইসেড।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback