ভারতের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও নিজের অবস্থানে অনড় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর জেরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে ভারত-কানাডা সম্পর্কে। করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে কানাডা আয়োজিত এক বৈঠকে যোগ দেবেনা ভারত। উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের পক্ষে সওয়াল করে ট্রুডো জানান, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের অধিকার সবার রয়েছে। কানাডা সবসময় ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে আছে। এরপরই ৭ ডিসেম্বরের বৈঠকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কানাডার হাইকমিশনকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সমন পাঠানোর পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রুডো বলেন,'বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে কানাডা।' কানাডার নাগরিকদের ৫.৬ শতাংশ প্রায় ১.৯ মিলিয়ন মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর মধ্যে পাঞ্জাব, হরিয়ানার বাসিন্দার সংখ্যা বেশি, যাঁদের অধিকাংশই শিখ সম্প্রদায়ের। সেই কারণেই জাস্টিন ট্রুডোর এই মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিদেশমন্ত্রকের সতর্কবার্তা পরও কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য এবং কানাডার বৈঠকে ভারতের অনুপস্থিতি দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেনের শিখ সম্প্রদায়। সংগঠনের তরফে টুইট করা হয়েছে,' রাজনৈতিক নেতাদের উচিত কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে জাস্টিন ট্রুডোকে সমর্থন জানানো। ভারত সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, কোনও অবস্থাতেই এর সামনে মাথা নত করা যাবে না।' অন্যদিকে, ব্রিট্রেনের ৫০ জন শিখ সাংসদ সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ভারতের কাছে তাঁদের প্রতিবাদ পাঠাতে বলেছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback