বারবার ঘেরাও-আন্দোলনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এবার ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁর সঙ্গে আরও দুই সহ-উপাচার্যও একই ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। সুরঞ্জনবাবুর বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে অনলাইনের বদলে ক্যাম্পাসেই বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বুধবার ফের ঘেরাও হল, অনেক রাত পর্যন্ত চলল ঘেরাও। এটি বিশ্বাসভঙ্গের নামান্তর। আমরা তিন জন এই পরিস্থিতিতে আর পদে থাকতে চাইছি না। সহকর্মীদের সেটা জানিয়েও দিয়েছি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যের শিক্ষামহলে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অনিয়ম, পরীক্ষায় অসঙ্গতি ও দেরিতে ফলপ্রকাশের অভিযোগে গত ৯ ডিসেম্বর উপাচার্য সহ যাদবপুরের কয়েকজন বিভাগীয় প্রধানকে ঘেরাও করে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ (ফেটসু)। এরপর আবার ঘেরাও চলে ১৬ ডিসেম্বর। বারবার ঘেরাওয়ের জেরে বিশ্ববিদ্যালের অনেক শীর্ষ কর্তা ক্যাম্পাসে যেতে চাইছিলেন না। পাশাপাশি ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকও অনলাইনে চাইছিলেন অনেকে। কিন্তু ছাত্র সংগঠন ফেটসু দাবি করে ক্যাম্পাসেই হোক আলোচনা। তবে পড়ুয়াদের দাবি মেনে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস সহ সহ-উপাচার্য এবং চারজন বিভাগীয় প্রধান ক্যাম্পাসেই আলোচনায় বসেন। বেলা ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ওই বৈঠক চললেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। শুরু হয় ঘেরাও, যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এই ঘটনায় ব্যথিত উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ইস্তফা দিতে চাইলেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback