জিতেন্দ্র-ফিরহাদ তরজা অব্যাহত, দ্বন্দ্ব মেটাতে আসরে মমতা নিজেই


আসানসোলের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি আসানসোল পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক এবং পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতিও বটে। এহেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবার কার্যত বিদ্রোহী। তাঁর লেখা গোপন চিঠি ফাঁস হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এরজন্য তিনি সরাসরি দায়ি করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেই।

 এই ঘটনার পর তৃণমূলের তরফে জিতেন্দ্রকে কলকাতায় তলব করা হয়। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ফিরহাদ-জিতেন্দ্র তরজা মঙ্গলবারও অব্যহত। এদিন অবশ্য পাণ্ডবেশ্বেরের বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ডাকা বৈঠকে তিনি আদৌ যোগ দেবেন কিনা ঠিক করেননি এখনও। বরং তিনি সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন জানিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, আপাতত তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরবেন। এরপরই তিনি জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে বসতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।

 আরও জানা যাচ্ছে দলীয় বিধায়কের মানভঞ্জনে উদ্যোগী হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ফলে মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটে জিতেন্দ্রর সঙ্গে ফিরহাদ ও প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক আদৌ হবে কিনা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে ভোটের মুখে একের পর এক দলীয় নেতা-বিধায়কদের বিদ্রোহে যথেষ্ট চাপে ফেলেছে শাসকদলকে। এর আগে দলের বর্ষীয়ান সাংসদদের মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মধ্যস্থতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও বৈঠক হয় শুভেন্দুর। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এবার আর অন্যদের ওপর ভরসা না করে নিজেই সমস্যা সমাধান করতে চান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم