খেলতে খেলতে আচমকাই বাবার হাত ফসকে ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল একরত্তি। মেয়েকে বাঁচাতে মরণঝাঁপ দেন বাবাও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, মেয়েকে বাঁচাতে পারলেও চারতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সুভাষচন্দ্র পাণ্ডার। তবে গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিল বছর একের পালক্ষি।অবশেষে ২২ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুটির মাথার খুলির হাড় ভেঙে ব্রেনের ঢুকে যায়। চিকিৎসকরা বয়সের কথা মাথায় রেখেই অস্ত্রোপচার না করে ওষুধ দিয়েই চিকিৎসা করেন। এছাড়া তার পা ভেঙে যায় এবং ঘাড়েও চোট ছিল। দুই সপ্তাহের লড়াই শেষে আপাতত কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর মেয়ে পালক্ষির সঙ্গে পর্ণশ্রী এলাকার বাড়ির ছাদে খেলছিলেন রেলকর্মী সুভাষচন্দ্র পাণ্ডা। সেই সময়ই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। শিশুটির ১২ বছরের দাদা ওড়িশায় বাবার শ্রাদ্ধের কাজ করেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়, সেখানেই একটি যজ্ঞের অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback