উৎসবের পর্ব অনেকটাই মিটেছে। তবুও শহরের করোনাগ্রাফ কমার নাম নেই। পুজোর আগে পর্যন্ত শহরের পথেঘাটে অনেক সতর্কতা ছিল। পুজোর দিনগুলিতেও কড়াকড়ি থাকায় ভিড় ছিল তুলনামূলক অনেক কম। ফলে পুজোর সময়ে এবং তারপরে যে ভাবে সংক্ৰামণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল, তেমনটি হয়নি। শীতের হিমেল হওয়া না আসলেও শীতের আমেজ এসেছে, ফলে করোনা নিয়ে আগাম সতর্কতার নির্দেশ দিচ্ছেন কলকাতার চিকিসকরা। কিন্তু ইদানিং তাঁরা লক্ষ্য করছেন, রাস্তায় বহু মানুষ মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকেরই মাস্ক মুখের নিচে ঝুলছে, আবার অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি করছেন বলে জানালেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের চিকিৎসক ড.অরুনাংশু তালুকদার। এটা অত্যন্ত ভয়ের কারণ হতে পারে বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।
সম্প্রতি আমেরিকায় প্রতি মিনিটে ৯৯ জন সংক্রামিত হচ্ছেন বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ইউরোপের অবস্থানও আশংকাজনক। গত সপ্তাহ পর্যন্ত দিল্লিতে অস্বাভাবিকভাবে সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। কারণ হিসেবে উঠে আসছে, খোলা জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছেনা এবং মাস্ক বর্জন। এই একই ঘটনা যদি এ রাজ্যেও হয়ে তবে তা যথেষ্ঠই আতঙ্কের, জানালেন বেলেঘাটা আই কোভিড হাসপাতালের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। গুজরাট বা রাজস্থানের মতো এ পশ্চিমবঙ্গেও কড়া আইন হওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback